ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন-সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (র:)

ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (র:)

জীবন সম্পর্কে চারটি মতবাদ:
দুনিয়ায় যতগুলো জীবন বিধান আছে তার প্রত্যেকটি এই চারটি অতি প্রাকৃত মতবাদের যে কোন একটিকে অবশ্যই গ্রহন করেছে।

***নির্ভেজাল জাহেলিয়াত:
বৈশিষ্ট্য:
মাধ্যম বা পন্থা: বাহ্যেন্দিয়ের উপর ভিত্তি করে উত্তর খোজার প্রচেষ্টা।
বিশ্বজাহান সৃষ্টি: আকষ্কিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ও অপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত এবং আপনা আপনি ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিশ্ব প্রকৃতির কোন সত্ত্বাধিকারী নেইথাকলেও মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কহীন।
দুনিয়া ব্যবহার নীতি: সমগ্র দুনিয়া বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর ভান্ডার। নিজের ইচ্ছেমতো মানুষ হস্তগত করবে ও ব্যবহার করবে। কোন জবাবদিহি করতে হবে না।
আইনবিধান ও জবাবদিহিতা:
ক) জীবন যাত্রা নির্বাহের জন্য আইনের কোন উৎস না থাকায় নিজের আইন নিজেরাই তৈরি করে।
খ) কারও নিকট জবাবদিহিতা নেই। যদি করতেই হয় তবে নিজ সমাজনেতা বা রাষ্ট্রশক্তির নিকট জবাবদিহি করতে হবে।
গ) দুনিয়ায় প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে ভুল ও নিভর্ল ক্ষতিকর ও লাভজনক এবং গ্রহনযোগ্য ও অগ্রহনযোগ্য মিমাংশা করা হবে।
ফলাফল:
মানুষের স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী জীবন:
ক) মানুষ পুরোপুরি স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী এবং তার কর্মনীতি সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন।
খ) নিজেকে দেহ এবং দৈহিক শক্তির একচ্ছত্র মালিক মনে করে এবং ইচ্ছেমতো এর ব্যবহার করে।
গ) যে বস্তু তার করায়ত্ত্ব ঘটে তার উপর কতর্ত্ব স্থাপন।
নৈতিক মূল্যবোধের অনুপস্থিতি:
  ক) তার হৃদয়মনে নৈতিক অনুভূতিদায়িত্বাজ্ঞান ও জবাবদিহিতার কোন ভয় থাকে না।
  খ) সাধারন অত্যাচারীবিশ্বাসঘাতক ও দুনিয়াপরায়ন হয়।
গ) প্রত্যেক মানুষ একজন জাতীয়তাবাদীর ভূমিকা পালন করে।
ঘ) আত্নত্যাগ ও আত্নদানের ভাবধারা এবং একধরনের দায়িত্বপূর্ণ নৈতিক অনুভূতির পরিচয় দেয়া গেলেও মূলত: তা স্বার্থপরতা ও আত্নম্ভরিতার সমপ্রসারিত রুপ।
 নির্ভেজাল জাহেলিয়াতের মূলকথা:
১. বিশ্ব জাহানের ব্যবস্থাবলী একটি আকর্ষিক ঘটনার বাস্তব প্রকাশ।
২. মানুষ এক ধরনের পাশবিক বা জৈবিক সত্তা ঘটনাক্রমে তার উদ্ভব হয়েছে।
পৃথিবী সম্পর্কে ধারনা:
১. এর কোন স্রষ্টা নেই। আর থাকলেও তার সাথে মানব জীবনের সংগে কোন সম্পর্ক নেই।
২. এমনকি স্বয়ংস্ফূর্তভাবে ইচ্ছা তৈরি হয়েছে। স্বয়ংস্ফূর্তভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং স্বয়ংস্ফূর্তভাবে একদিন হঠাৎ কোন কার্যকারিতা ছাড়াই ধ্বংস হবে।
         
***শের্ক মিশ্রিত জাহেলিয়াত :
বিশ্ব জাহানের এ ব্যবস্থা কোন ঘটনাক্রমিক প্রকাশ নয় এবং খোদাহীন অস্তিত্বের অধিকারী ও নয়। এর একটি খোদা নয় বরং বহু খোদা বর্তমান। তারা একেকজন সৃষ্টির একেকটি বিষয় দেখাশুনা করে।
বৈশিষ্ট্য:
বৈজ্ঞানিক প্রমানভিত্তিক নয়। নিছক কল্পনা নির্ভর।
উৎস:- ভয় ও ক্ষমতা থেকে এর সৃষ্টি। অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক কোন কিছু দেখলেই তাতে কল্পিত ক্ষমতা রোপ ও পূজা আরম্ব করে।
ফেরেশতাজ্বীনপাহাড়নক্ষত্রআগুননদী ইত্যাদিকে দেবতায় পরিনত করেছে।
আল্লাহর ধারনা এমনভাবে প্রতিষ্টিত করেছে যেন আল্লাহ একজন বাদশাহ এবং অন্যান্য খোদারা তার উজির ও নজির। দরবারীমোসাহেব ও কর্মচারী পর্যায়ের মানুষ সরাসরি সেই নামদার বাদশাহ পর্যন্ত পৌছাতে অক্ষম। তাই অধীনস্ত খোদাদের সাথে পুঁজের মাধ্যমে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করে।
          ফলাফল:
অতি প্রাকৃতিক শক্তিতে বিশ্বাসের কারনে অবাস্তব আশ্রয় ও অবাস্তব ভয়ে পুঁজের মাধ্যমে বিপুল পরিমান শক্তি অর্থহীনভাবে অপচয় করে।
অঙ্গ লোকেরা মুশরিকদের খোদাকে পরিত্যাগ করে যাদের গোটা জীবন কেটেছে শিরক এর বিরুদ্ধে যেমন: ওলিশহীদদরবেশগওসকুতুবওলামাপীর আল্লাহর এ সব নেক বান্দাদের খোদার আসনে প্রতিষ্টিত করেছে।
মুশরিদের ন্যায় পুজা অর্চনার পরিবর্তে ফাতেহা খানি জেয়ারতনজর-নিয়াজউরুসচাদর-চড়ানোতাজিয়া করা ইত্যাদি নিয়ে নতুন শরীয়ত তৈরি করা হয়েছে।
কোন তত্বগত দলিল প্রমান ছাড়া ঐ সব নেক লোকদের জম্ম-মৃতু্যআভির্বাব-তিরোভাবকাশফ-কেরামত,ক্ষমতা-কতর্ৃত্ব এবং আল্লাহর দরবারে তাদের নৈকট্যের ধরন সম্পর্কে পৌত্তালিক মুশরিকদের পৌরানিকবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যসীল একটি পৌরানিকবাদ তৈরি করা হয়েছে।
ওসিলা রুহানী মদদ ফয়েজ ইত্যাদি শব্দগুলোর সুদৃশ্য আচরনের আড়ালে আল্লাহ ও বান্দাহদের মধ্যকার সম্পর্ককে ঐ সব নেক লোকদের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে।
মুশরিকদের সাথে ঐসব মুসলমানদের পার্থক্য এই যেতারা আল্লাহর এসব নিচের স্তরের কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে আর এসব মুসলমানেরা গওসকুতুবআবদাল ও আল্লাহ প্রভৃতি শব্দের আবরনে এদেরকে ঢেকে রাখে।
        
 নির্ভেজাল ও শিরক মিশ্রিত জাহেলিয়াতের পার্থক্য:
১. শিরকে পূজামানতঅর্ঘ্য ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আধিক্য কিন্তু নির্ভেজাল জাহেলিয়াতে এসব নেই।
২. নৈতিক চরিত্র ও কর্মের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
৩. শিক্ষাশিল্পদর্শনসাহিত্যরাজনীতিঅর্থনীতিনির্ভেজাল ইত্যাদির জন্য কোন মূলনীতি শিরকে নেই। তাই নির্ভেজাল জাহেলিয়াত থেকে তা গ্রহন করে।
৪. মুশরিকরা কল্পনাবিলাসী। নির্ভেজাল বাস্তবধর্মী।
৫. শিরকের রাজ্যে রাজা ও ধর্মীয় নেতাগন খোদার আসনে প্রতিষ্ঠিত। বংশ এবং শ্রেনীর প্রাধান্যের উপর এ মতবাদ প্রতিষ্ঠিত। নির্ভেজাল রাজত্বে পরিবার পূজাবংশ পূজাএকনায়কতন্ত্রসামাজ্যবাদপুঁজিবাদশ্রেণী সংগ্রামের রুপ ধারন করে।
       
*** বৈরাগ্যবাদী জাহেলিয়াত:
বাস্তব পর্যবেক্ষনের সাথে আন্দাজ অনুমানের সংমিশ্রনে মানব জীবনের মৌলিক প্রশ্নসমূহের উত্তর ঠিক করাকে বৈরাগ্যবাদ বলে অভিহিত করা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
পৃথিবী ও মানুষের শারীরিক সত্বা সয়ং মানুষের জন্য একটি শাস্তিকেন্দ্র। মানুষের আত্নাকে দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদীর ন্যায় পিঞ্জিরাবদ্ধ করে রাখা হয়।
ইন্দ্রিয়ের সকল প্রয়োজন ও বাসনা বন্দীখানার শৃঙ্খলের ন্যায়।
নাযাত লাভের উপায় হচ্ছে প্রকৃতিগত বিভিন্ন প্রয়োজনকে কঠোরভাবে অবদমিত করা।
সকল প্রকার আনন্দ-উচ্ছাসস্বাধ-আস্বাধন পরিহার এবং দেহ মনের কঠোর বৃদ্ধি সাধণ।
স্রষ্টার অস্তিত্ব ও মৌলিক ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই।
ফলাফল:
সৎ ও ধর্মভীরু লোকদেরকে দুনিয়ার ঝামেলা মুক্ত করে নির্ভেজাল করে তোলেমানে দুষ্ট ও অসৎ প্রকৃতির লোকেরা কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা দখল করে ফিৎনাফাসাদ সৃষ্টি করে।
জনগনের মধ্যে অবাঞ্জিত ধৈর্য্যসহিঞ্চতা ও নৈরাশ্যবাদী দৃষ্টি ভঙ্গির সৃষ্টি হয়। এতে করে রাজাবাদশাহ,আমীরওমরাহ ও ধর্মীয় কর্তত্বশালী শ্রেনী জনগনের উপর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়।
দুনিয়াকে পরিক্ষাস্থলকর্মস্থলপরকালের কৃষিক্ষেত্রের পরিবর্তে দারুল আযাব ও মায়াজাল হিসেবে উপস্থাপন করে। ফলে মানুষ পৃতিবীতে নিজের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব ভুলে যায় এবং দুনিয়া থেকে নিজের গাঁ বাঁচিয়ে চলতে চায়।
উম্মতের একটি অংশকে মোকাবেলামোশাহাদাকাশফ-বিরাজাতচিল্লাদানওজিফাপাঠআমালিয়াত ব্যাখ্যার নফল আদায়ের ব্যাপারে ফরযের চেয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে।
দ্বীনের নির্দেশের ব্যাপারে অযথা বাড়াবাড়ি ছোটখাট জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরিমাপ করা। খুঁটিনাটি বিষয়ে অস্বাভাবিক মনোযোগ ও যত্ন নেয়ার রোগ জম্ম নিয়েছে।
***ইসলাম
মানুষ ও বিশ্ব প্রকৃতি সম্পর্কে মৌলিক প্রশ্নসমূহের যে জওয়াব আল্লাহ প্রেরিত নবীগন দিয়েছেনতা আন্তরিকতা সহকারে পূর্নরুপে গ্রহন করার নামই ইসলাম।

মানুষ ও বিশ্বজগৎ সম্পর্কে নবীদের মতে:
১. এ মহাবিশ্ব এর প্রতিটি সৃষ্টি সব কিছুর স্রষ্ট্রা আল্লাহ। তিনিই এর একমাত্র শাসক ও পরিচালক। সবকিছুই তারই ক্ষমতার অধীন।
২. মানুষ সম্পর্কিত: মানুষ বিশ্ব প্রকৃতির একটি অংশ এবং জম্মগত প্রজা। এটি মানুষের ইচ্ছাধীন নয়। মানুষ ইচ্ছে করলেও এর বাহিরে যেতে পারে না।
৩. মানুষের দায়িত্ব: সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য করাএর পক্ষ থেকে আগত প্রত্যেক নির্দেশ পালন করা।
৪. মানুষকে পরিক্ষা করার জন্য জ্ঞানবুদ্ধিবিবেক এবং স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।
৫. আল্লাহর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে তার জন্যে রয়েছে পুরস্কার এবং না করলে রয়েছে শাস্তি।
৬. তাৎক্ষনিকভাবে যদি শাস্তি নাও হয় তবে আখেরাতে চূড়ান্ত শাস্তি হবে।
*** মুজাদ্দিদ কাকে বলে?
যারা ইসলামকে জাহেলিয়াতের দূষিত পানি থেকে ছেঁকে পৃথক করে নিয়ে কোন না পর্যায়ে এবং তাকে তার সত্যিকার নির্ভেজাল আকৃতিতে পুনর্বার অগ্রসর করার প্রচেষ্টা চালায় তাকে মুজাদ্দিদ বলে।
যে ব্যক্তি দ্বীনকে নতুন করে সজ্জীবিত সতেজ করেন তাকে মুজাদ্দিদ বলে।

 মুজাদ্দিদের বৈশিষ্ট্য: ১০ টি
১. স্বচ্ছ চিন্তার অধিকারী।
২. সত্য উপলদ্ধির মত গভীর দৃষ্টি সম্পূন্ন।
৩. সব রকমের বক্রতাহীনতাদোষমুক্তসরল বুদ্ধিবৃত্তিতে তার মনোজগৎ পরিপূর্ণ।
৪. নিজের ভারসাম্য রক্ষা করার বিশেষ যোগ্যতা সম্পূন্ন।
৫. নিজের বিকৃত গতিধারার সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা ও সাহস।
৬. নেতৃত্বের জম্মগত যোগ্যতা।
৭. ইজতিহাদের স্বাভাবিক যোগ্যতা।
৮. ইসলাম সম্পর্কে দ্বীধামুক্ত পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী।
৯. দৃষ্টিভঙ্গি ও বুদ্ধিজ্ঞানের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ মুসলমান।
১০. ইসলাম ও জাহেলিয়াতের মধ্যে পার্থক্য করার যোগ্যতা।

 মুজাদ্দিদের কাজ: ৯ টি
১. নিজের পরিবেশের নির্ভুল চিত্রাংকন।
২. সংস্কারের পরিকল্পনা প্রনয়ণ।
৩. নিজের সীমা পরিসীমা নির্ধারন।
৪. চিন্তারাজ্যে বিপ্লব সৃষ্টির প্রচেষ্টা।
৫. সক্রিয় সংস্কার প্রচেষ্টা।
৬. দ্বীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইজতিহাদ করার প্রচেষ্টা।
৭.প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টা।
৮. ইসলামী ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন।
৯. বিশ্বজনিন বিপ্লব সৃষ্টি।
একজন মুজাদ্দিদের জন্য প্রথম তিনটি কাজ অপরিহার্য্য।
অবশিষ্ট ৬ টির মধ্যে যে কোন কার্য সম্পাদন করলে তাকে মুজাদ্দিদ বলা যাবে।

***মুজাদ্দিদ ও নবীর মধ্যে পার্থক্য:
নবী ১. খোদার নির্দেশে তার পথে নিযুক্ত হন এবং নিজের নিয়োগ সম্পর্কে অবগত।
২. ওহী নাযিল হয়।
৩. নবুয়্যাতের দাবীর মাধ্যমে তিনি কাজের সূচনা করে সকলকে নিজের দিকে আহবান করে।
৪. মুমীন হওয়ার জন্য নবীর দাওয়াত গ্রহন করা অপরিহার্য্য।
মুজদ্দিদ
১. প্রাকৃতিক আইনের মাধ্যমে নিযুক্ত হন এবং নিজের নিয়োগ সম্পর্কে অবগত নন।
২. ওহী নাযিল হয় না।
৩. কোন দাবীর মাধ্যমে কাজ করেন না। কিন্তু তার সৎ ও উন্নত চরিত্রের কারনে মানুষ একত্রিত হয়।
৪. মুজাদ্দিদের উপর ঈমান আনা অপরিহার্য্য নয়।
কামেল ও আদর্শ মুজাদ্দিদ:
১. এখনো কোন কামেল মুজাদ্দিদের আবির্ভাব ঘটেনি।
২. হযরত ওমর ইবনে আবদুল আযীয (র:) এর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছিলেন কিন্তু সফলকাম হননি।
৩. একমাত্র একজনই কামেল মুজাদ্দিদ হতে পারেন যার নাম হবে ঈমামুল মেহেদী।
কিয়ামতের আগে ৫ টি পর্যায় অতিক্রম হবে
১. নবুয়্যাতের যুগ।
২. খেলাফতের যুগ।
৩. রাজতন্ত্রের যুগ।
৪. জুলুম তন্ত্রের যুগ(বর্তমান)।
৫. নবুয়্যাত পদ্ধতিতে খেলাফত প্রতিষ্ঠা।
নবীর কাজ:
১. সাধারন মানুষের মধ্যে চিন্তার বিপ্লব সৃষ্টি করা।
২. এই শিক্ষায় প্রভাবিত লোকদের নিয়ে একটি শক্তিশালী দল গঠন করে জাহেলিয়াতের হাত থেকে কতৃত্ব ছিনিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা।
মুজাদ্দিদের প্রয়োজনীয়তা:
১. এই তিন ধরনের জাহেলিয়াতের ভিড় থেকে ইসলামকে উদ্ধার করে পুনরায় সবল ও সতেজ করার জন্য।
২. বিপথে পরিচালিত জীবন ধারা পরিবর্তন করে পুনর্বার ইসলামের পথে অগ্রসর করা।
কতিপয় মুজাদ্দিদ:
১. উমর ইবনে আবদুল আযীয (হিজরী: ৬১-১০১)।
২. ইমাম আবু হানিফা (র:) (হিজরী: ৮০-১৫০)
৩. ইমাম মালিক (র:) (হিজরী: ৯৫-১৭৯)।
৪. ইমাম শাফেয়ী (র:) (হিজরী: ১৫০-২৯০)।
৫. ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (র:) (হিজরী: ১৬৪-২৪১)।
৬. ইমাম গাজ্জালী (র:) (হিজরী: ৪৫০-৫০৫)।
৭. ইমাম তাইমিয়া (র:) (হিজরী: ৬৬১-৭২৮)।
৮. শায়খ আহম্মদ সরহিন্দী (হিজরী: ৯৭৫-১০৩৪)।
৯. সাইয়েদ আহমদ বেরেলবী (হিজরী: ১২০১-১২৪৬)।
১০. শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলবী (হিজরী: ১১১৪-১১৭৬)।
১১. শাহ ইসমাঈল শহীদ (র:) (হিজরী: ১১৯৩-১২৪৬)।

ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন-সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (র:) ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন-সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (র:) Reviewed by Younus B A Noor on 8:23:00 PM Rating: 5
Powered by Blogger.